top of page

সাইয়োনি একটি টেকনোলজী ড্রিভেন ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পৃথিবীর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষিত, মার্জিত এবং আধুনিক বাংলাদেশী পরিবারদের ম্যাচমেকিং সার্ভিস অফার করা হয়, অর্থাৎ বিয়ের জন্য তাদেরকে পছন্দনীয় লাইফ পার্টনার খুঁজে পেতে হেল্প করা হয়। 

Wedding Decorations

শুরু হল যেভাবে

সাইয়োনি একটি টেকনোলজী ড্রিভেন ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষিত, মার্জিত এবং আধুনিক বাংলাদেশী পরিবারদের ম্যাচমেকিং সার্ভিস অফার করা হয়, অর্থাৎ তাদেরকে পছন্দনীয় লাইফ পার্টনার খুঁজে পেতে হেল্প করা হয়। 

এখনও বাংলাদেশের শিক্ষিত পরিবারদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিয়ের সময় "এরেঞ্জড ম্যারেজ" বা পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করতে পছন্দ করেন। আমাদের মুসলিম প্রধান রক্ষণশীল সমাজে, বিয়েকে শুধুই দুটো মানুষের মধ্যে সম্পর্ক হিসেবে না, বরং দুই পরিবারের মধ্যে নতুন বন্ধন হিসেবে দেখা হয়। ছেলে মেয়ের বিয়ের চিন্তা মাথায় আসলে, শিক্ষিত পরিবারের মানুষেরা সাধারণত আত্মীয়, বন্ধু কিংবা সামাজিক ভাবে পরিচিতদের মাধ্যমে ছেলেমেয়ের জন্য লাইফ পার্টনার খুঁজতে চান। কিন্তু ৮০ কিংবা ৯০ এর দশকের মত এখনকার আত্মকেন্দ্রিক নাগরিক বাস্তবতায়, পরিচিতদের মাধ্যমে খুব বেশি প্রস্তাব পাওয়া যায়না। অনেকে প্রতিযোগীমূলক চিন্তা থেকে অন্যের ছেলে/মেয়ের জন্য প্রস্তাব মাথায় থাকলেও দেননা, আবার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করেন, তাদের মাধ্যমে বিয়ে হলে ভবিষ্যতে কোনো গণ্ডগোল হলে তার দায় তাদের ওপর বর্তাবে। এরপরই মাথায় আসে ঘটক কিংবা ম্যারেজ মিডিয়ার চিন্তা। সেখানে ভিন্ন রকমের তিক্ততার স্বাদ পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ঘটক বা ম্যারেজ মিডিয়া উচ্চশিক্ষিত না, এবং এর প্রভাব পড়ে তাদের কথা এবং কাজে। মানুষের আবেগকে পুঁজি করে তারা অনেক টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নেন, এবং ফি নেয়ার আগ পর্যন্ত অনেক আন্তরিকতা দেখান, কিন্তু এরপর তাদের আচরণ বদলে যায় খুব দ্রুত। নামকাওয়াস্তে কিছু প্রোফাইল দিয়েই যোগাযোগ কমিয়ে দেন, অনেকে আবার টাকা নেয়ার পর ক্লায়েন্টের ফোন নাম্বার ব্লক করে দেন।। আবার আরেক শ্রেণীর ঘটক/মিডিয়া বানোয়াট প্রোফাইল নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তার কাছে থাকা বেশিরভাগ প্রোফাইল ই বিভিন্ন জায়গা থেকে যোগাড় করা এবং প্রয়োজনের সময় তারা যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারেন না। কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যায়, যার প্রোফাইল তারা দিচ্ছেন, তার অলরেডি বিয়ে হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। নিজেদের ডেটাবেইস ভারী করতে গিয়ে সেই প্রোফাইল আর তারা সরান নি। এভাবে বহু মানুষ হারিয়েছেন লাখখানেক টাকা, কিন্তু উপকার পাননি কোন। সবশেষে, যারা মোটামুটি সফল হন কিছু মানুষকে বিয়ে দিতে, তারা বিরাট অংকের টাকা দাবী করে বসেন। 

সাইয়োনির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর রহমান নিজের বিয়ের সময় বিভিন্ন ঘটক এবং মিডিয়ার কাছে প্রতারিত হয়েছেন বিভিন্নভাবে। পরিচিত অনেক কে দেখেছেন একিরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে। এধরণের অভিজ্ঞতা যেন অন্য কারো না হয়, সেই আদর্শিক ভাবনা থেকে সৃষ্টি করেন সাইয়োনি। ​সাইয়োনি আমরা একটি ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্ম না, বরং একটি সোশ্যাল বিসনেস হিসেবে ভাবি। সাইয়োনির উদ্দেশ্য বিয়ে দেয়ার নামে যারা মানুষকে হয়রানি করছে, তাদের হাত থেকে পরিত্রাণ দেয়া। একইসাথে, অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করতে আসা প্রতিটি মানুষ যেন তার যোগ্যতা অনুযায়ী পছন্দের লাইফ পার্টনার খুঁজে পায় তা নিশ্চিত করা। 

সাইয়োনির স্বপ্ন, ২০২৬ সালের মধ্যে এরেঞ্জড ম্যারেজের জন্য বাংলাদেশের সব শিক্ষিত এবং আধুনিক পরিবারদের ভরসার প্রতিষ্ঠান হওয়া।​আর, আগামী ৩ বছরের মাঝে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ওয়েডিং ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা। 

Tanveer Rahman
CEO, Saiyonee
MBA, University Of British Columbia, Canada
bottom of page