যে প্রশ্নগুলো অনেকেই করেন
সাইয়োনি কতদিন হল শুরু হয়েছে ?
সাইয়োনি ম্যাচমেকিং কনসালটেন্সি সার্ভিস শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। তবে সাইয়োনির প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান "MATPRENEUR LTD." সরকারী ভাবে (REGISTRAR OF JOINT STOCK COMPANIES AND FIRMS) নিবন্ধিত হয় ২০২২ সালের মার্চে। ২০২২ থেকে ২০২৩ এর এপ্রিল পর্যন্ত আমরা সময় ব্যয় করেছিলাম একটি অনলাইন ম্যাচমেকিং সফটওয়্যার তৈরি করতে। আমাদের প্ল্যান ছিল, ঘর থেকে না বের হয়েই, সরাসরি অনলাইনে যেন আপনারা পছন্দের প্রোফাইল পেয়ে যান এবং নিজেরাই ম্যাচমেক করতে পারেন। এই প্রসেসে রেজিস্ট্রেশন ফি/ সাবস্ক্রিপশন ফি ও অনেক কম হতো। কিন্তু, ২০২৩ এর শুরুতে অ্যাপ লঞ্চ করার পর দেখা যায়, গার্ডিয়ানরা, যারা এরেঞ্জড ম্যারেজের মূল উদ্যোগ গ্রহণকারী, তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না। কিভাবে ব্যবহার করবেন তাও বুঝতে পারছেন না, আবার লগইন আর পাসওয়ার্ড এসব বিষয় নিয়েও জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। তারাই আমাদের অনুরোধ করেন আমরা যেন নিজেরাই প্রোফাইল ম্যাচ করে সরাসরি তাদেরকে দেই। তখন আমরা আমাদের সফটওয়্যার এর প্ল্যান থেকে সরে এসে সরাসরি কনসালটেন্সি সার্ভিসে চলে আসি এপ্রিল ২০২৩ এ।
এর আগে অনেক জায়গায় টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছি। টাকা নিয়ে আর প্রোফাইল দেয়নি, আবার অনেকে নাম্বার ব্লক করে দিয়েছে
আপনার অবিশ্বাসের জায়গাটা আমরা বুঝি। সাইয়োনির FOUNDER / CEO তানভীর রহমান নিজেও এভাবে প্রতারিত হয়েছেন একসময়। তিনি নিজে এরেঞ্জড ম্যারেজ করেছেন, এবং খোঁজার প্রক্রিয়ায় তার বাবার কাছে এসে বিভিন্ন ঘটকরা ফি/বখশিশ নিয়ে যেতেন ঠিকই, কিন্তু কিছুদিন পর তাদের আর খোঁজ পাওয়া যেতনা। অনেক ফেইক প্রোফাইল পাঠানো হতো। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে মেয়ে পছন্দ হলে অন্য পক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পর বলা হয়েছে যে মেয়ের নাকি অলরেডি বিয়ে হয়ে গেছে !
সাইয়োনির মার্কেট রিসার্চ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৯০% ঘটক এবং ম্যারেজ মিডিয়া প্রতারক শ্রেণির। এই পেশা তাদের কাছে দ্রুত ধনী হবার উপায় মাত্র। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই বাংলাদেশ কে নতুন কিছু উপহার দেয়ার জন্য, সাইয়োনির জন্ম।
সাইয়োনিতে আমরা "STRAIGHT FORWARD" কনসেপ্টে বিশ্বাসী। আমরা সবার প্রোফাইল এক্সেপ্ট করিনা। যাদেরকে হেল্প করতে পারবো (সার্ভিস লেংথ ১৮ মাসের মধ্যে) তাদেরকেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ইনভাইট করি। রেজিস্ট্রেশনের আগে প্রতিটি ক্লায়েন্টকে একটা আইডিয়া দিয়ে দেয়া হয়, আনুমানিক কতগুলো প্রোফাইল আমাদের হাতে আছে তাদের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী। আবার যেসব কারণে ক্যান্ডিডেটের প্রোফাইল রিজেক্টেড হতে পারে, সেগুলোরও একটা আইডিয়া দিয়ে দেই আমরা। এতে করে অনেক ক্লায়েন্ট মন খারাপ করেন (আমাদের স্ট্রেইটফরোয়ার্ড রিয়েলিস্টিক এসেসমেন্ট শুনে)।
কিন্তু আমরা এটা করি যেন, একজন ক্লায়েন্ট শুরুতে অনেক আশাবাদী হয়ে আমাদের কাছে এসে পরে যেন মন খারাপ না করেন, কিংবা আমাদেরকে ভুল না বোঝেন।
ক্লায়েন্টদের বিশ্বাস ধরে রাখার জন্য আমরা ইন্ট্রডিউস করেছি "রিফান্ড পলিসি"। রেজিস্ট্রেশনের ২ মাসের মধ্যে কোন ক্লায়েন্ট যদি সাইয়োনির সার্ভিস পছন্দ না করেন, সেক্ষেত্রে আমরা ৭০% রেজিস্ট্রেশন ফি রিফান্ড করে দেই*। সাইয়োনির ফেইসবুক গ্রুপ এবং পেইজ মিলিয়ে প্রায় ৩০,০০০ মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখছেন।
সবশেষে, এটাই বলবো, আমাদের অফিস ভিসিট করুন। পরিচিত হন। সার্ভিস নেয়ার জন্য কাউকেই আমরা প্রেশারাইজ করিনা।
*শর্ত প্রযোজ্য
আপনাদের রেজিস্ট্রেশন ফি এত বেশি কেন ?
আমাদের রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি না। হয়তো আপনি ঢাকার অন্য কোন তথাকথিত ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে কথা বলেননি, তাই আপনার বেশি মনে হচ্ছে। আপনাকে আমরা সাজেশন দেবো, ঢাকার অন্য ম্যারেজ মিডিয়াগুলো ভিসিট করার জন্য। দেখবেন, যাদের সামান্য হলেও পরিচিতি আছে, তারা কেউ ১০,০০০ টাকার নিচে রেজিস্ট্রেশন ফি নেননা। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনে ১২০০০-২৫০০০ টাকা নিয়ে থাকেন। এমনও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা নিয়ে থাকেন। সেখানে সাইয়োনির রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৭৫০০ টাকা।
সাইয়োনির কনসাল্টেন্টদের ব্যাকগ্রাউন্ড ,কাজের স্ট্যান্ডার্ড এবং ব্যাবসায়িক স্বার্থ দেখার চেষ্টা করলে, আমাদের রেজিস্ট্রেশন ফি হওয়া উচিত ছিল সবার চেয়ে বেশি। এক অর্থে, আমরা সোশ্যাল বিজনেসের মানসিকতা নিয়ে কাজ করি দেখে, প্রতি মাসে অনেকটা লস দিয়েই সাইয়োনি রান করে যাচ্ছি। স্বপ্ন একটাই, কোন একদিন আপনাদের মাধ্যমে সাইয়োনি অনেক বড় ব্র্যান্ড হবে, তখন এই লস ওভারকাম করতে পারবো।
এবার আসি সাক্সেস মানির কথায়। বেশিরভাগ ম্যারেজ মিডিয়া বিয়ে হলে, ১-৫ লাখ টাকা দাবী করে। এখানেও সাইয়োনির ফি ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সবচেয়ে কম। মাত্র ৩০,০০০ টাকা।
সাইয়োনি যখন শুরু হয়, সেসময় প্রথম ৮ মাস আমরা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিতামনা। আমরা চেয়েছি সবাই আমাদের ব্যাপারে জানুক, আমাদের উপর আস্থা রাখুক। মজার ব্যাপার, সেই সময়ের অনেক ক্লায়েন্ট আছেন, যাদের এখনও আমরা ফ্রি তেই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি, শুধুমাত্র নিজেদের ওয়াদা ধরে রাখার জন্য।
প্রথম ৮ মাসের পরে, যখন আমরা রেজিস্ট্রেশন ফি নেয়া শুরু করি, সেটাও ছিল একদম নাম মাত্র, ৫০০-১০০০ টাকা। সময়ের সাথে সাইয়োনির টিম মেম্বার বেড়েছে, আরও বেড়েছে অপারেশনাল, মার্কেটিং এক্সপেন্স। স্বাভাবিক ভাবে, এবং ধারাবাহিক ভাবে সাইয়োনির রেজিস্ট্রেশন ফি বেড়েছে, প্রফিটের আকাঙ্ক্ষা থেকে না।
আগে টাকা দিতে পারবোনা, রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়া ম্যাচমেকিং করবেন ? প্রয়োজনে বিয়ে হলে এক লাখ টাকা দেবো
চমৎকার প্রস্তাব। কিন্তু দুঃখিত। সাইয়োনিতে এ ধরণের নেগোসিয়েশনের কোন স্পেইস নেই। বিয়ের পর বেশি টাকা নেয়ার কোন আগ্রহও আমাদের নেই। আপনি সাধারণ ঘটক এবং ম্যারেজ মিডিয়ার কাছে গেলে তারা রাজী হতে পারে আপনার প্রস্তাবে। আপনাকে তাদের কাছে যেতে পরামর্শ দেবো আমরা।
তবে, যার মাধ্যমেই আপনার ছেলে/মেয়ের বিয়ে হোক না কেন, সাইয়োনির দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
সাইয়োনির ফাউন্ডার কে ?
সাইয়োনির ফাউন্ডার তানভীর রহমান। তিনি একই সাথে বাংলাদেশ এবং কানাডার সিটিজেন। দীর্ঘদিন থেকেছেন কানাডার VANCOUVER এবং TORONTO শহরে। অল্প সময়ের জন্য সিঙ্গাপুরেও থেকেছেন পড়াশোনার সুবাদে (NATIONAL UNIVERSITY OF SINGAPORE) । MBA করেছেন কানাডার UNIVERSITY OF BRITISH COLUMBIA থেকে। তারও অনেক আগে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে এবং নটরডেম কলেজে। বাংলাদেশ এবং কানাডা মিলে ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন বিভিন্ন খ্যাতনামা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে (GLAXOSMITHKLINE, SQUARE FOOD & BEVERAGE, LULULEMON ATHLETICA, TD BANK CANADA etc). তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল "সামাজিক উদ্যোক্তা" (SOCIAL ENTREPRENEUR) হবার, অর্থাৎ ব্যাবসার মাধ্যমে সমাজের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সমস্যার সমাধান করা। ২০২২ সালে তিনি কানাডা থেকে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এসে সাইয়োনি প্রতিষ্ঠা করেন। এরেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রে অল্পশিক্ষিত ঘটক এবং প্রতারক ম্যারেজ মিডিয়াদের আগ্রাসন ঠেকাতেই তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তানভীর রহমানের লিঙ্কডইন প্রোফাইল দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সাইয়োনি কিভাবে ম্যাচমেকিং করে ?
সাইয়োনির কাছে আছে অনেক ছেলে এবং মেয়েদের বায়োডাটা এবং তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ। এছাড়াও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নতুন ক্লায়েন্ট জয়েন করছে আমাদের সাথে। একজন নতুন ক্লায়েন্ট আসার পর তার বায়োডাটা এবং ছবি নিয়ে আমরা এনালাইসিস করি। তাদের পছন্দ-অপছন্দ শুনি ভাল করে। এরপর আমাদের সফটওয়্যারে ক্লায়েন্টের প্রোফাইল আপলোড করা হয়। সফটওয়্যার প্রাথমিক ভাবে আমাদের শর্ট-লিস্ট করে দেয় সেই ক্লায়েন্টের জন্য কতগুলো মানানসই প্রোফাইল আছে আমাদের বর্তমান ডেটাবেইসে। এরপর সাইয়োনির টিম ম্যানুয়ালি চেক করে দেখে ক্লায়েন্টের পছন্দ অনুযায়ী সবদিক দিয়ে ভাল ম্যাচ হচ্ছে কিনা। ম্যাচ হলে আমরা ক্লায়েন্টকে বায়োডাটাগুলো পাঠাই। ক্লায়েন্ট যাদেরকে পছন্দ করেন, তাদেরকে ক্লায়েন্টের বায়োডাটা পাঠিয়ে দেয়া হয়। এভাবে, যখন দুই পরিবারই বায়োডাটা থেকে প্রাথমিক ভাবে ভাল লাগা প্রকাশ করেন, তখন দুই পরিবারের গার্ডিয়ান/কন্টাক্ট পার্সনদের আমরা যোগাযোগ করিয়ে দেই। এরপর দুই পরিবার যদি দেখা করতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে সাইয়োনির একজন ম্যাচমেকিং কনসালটেন্ট সাথে যান মডারেটর হিসেবে। সাধারণত এরপর ছেলে মেয়েরা নিজেরা কথা বলে এবং পছন্দ হলে বিয়ের মূল আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যায় পরিবারেরা।
আপনারা কিভাবে ছেলে এবং মেয়ে পক্ষকে যোগাযোগ করিয়ে দেন ?
বায়োডাটা আদান প্রদানের পর ছেলে এবং মেয়ের পরিবার উভয়ই পসিটিভ হলে আমরা দুই পরিবারের দায়িত্বশীল গার্ডিয়ান বা কন্টাক্ট পার্সনদের ফোন নাম্বার আদান প্রদান করে দেই। তারা কথা বলার যদি আমাদের গ্রিন সিগনাল দেন, তখন ম্যাচমেকিং কনসালটেন্টরা দুই ফ্যামিলির মিটিং এর ব্যাবস্থা করেন। ফ্যামিলি মিটিং এর জন্য সাইয়োনির অফিসে আছে চমৎকার কনফারেন্স রুম, যেখানে প্রাইভেসি রক্ষা করে দুটি পরিবার আলাপ করতে পারেন। তাছাড়া ক্লায়েন্টরা যদি বাহিরে কোথাও মিট করতে চান, সেক্ষেত্রে সাইয়োনির কনসালটেন্ট একজন উপস্থিত থাকেন, যেন ফ্যামিলি মিটিং সুন্দরভাবে অর্গানাইজ করা যায়।
আপনারা নিজেদের ম্যারেজ মিডিয়া না বলে ম্যাচমেকিং কনসালটেন্ট বলছেন কেন ?
কনসালটেন্ট দিয়ে বোঝানো হয় এমন প্রফেশনালদের যারা নিজেদের বিশেষ স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্সের জায়গা থেকে মানুষকে সার্ভিস এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বেশ কিছু কারণে আমরা নিজেদের কনসালটেন্ট বলে থাকি।
প্রথমত, সাইয়োনিতে ফাউন্ডার তানভীর রহমান দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিস্টেম, টিম এবং প্রসেস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে। তার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশের এরেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত মান্ধাতা আমলের কিছু প্র্যাকটিস চলে আসছে, যা পরবর্তীতে কেউ দায়িত্ব নিয়ে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন নি । তিনি বিশ্বাস করেন, ম্যাচমেকিং প্রসেসকে সঠিক এলাইনমেন্টে আনা গেলে, একজন মানুষের জন্য লাইফ পার্টনার খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন কিছু না। বাংলাদেশের ঘটক এবং ম্যারেজ মিডিয়াদের পুরনো, অকার্যকর সিস্টেমকে পরিবর্তনের জন্য তানভীর রহমান তার দেশ বিদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি এফিশিয়েন্ট এবং ইফেক্টিভ সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছেন। যেমন- ম্যাচমেকিং এর জন্য কাগজের বায়োডাটার স্তূপে হারিয়ে না গিয়ে আমরা সফটওয়্যার ব্যবহার করি। ক্লায়েন্টের দেয়া বায়োডাটাতে আরও প্রাইভেসি নিশ্চিত করার জন্য সাইয়োনির লেটারহেডে আলাদা বায়োডাটা বানানো হয়। প্রাথমিক পছন্দ হওয়ার পর দুই ফ্যামিলির মিটিং কে সহজ করার জন্য, আমাদের অফিসে আছে আলাদা কনফারেন্স রুম।
দ্বিতীয়ত, প্রফেশনাল মাইন্ডসেট। একজন কনসালটেন্টের দায়িত্ব ক্লায়েন্টের সমস্যা কে নিজের সমস্যা মনে করে আন্তরিকভাবে তা সমাধান করা। সাইয়োনিতে যতদিন একজন ক্লায়েন্টের বিয়ে না হয়, ততদিন নিয়মিত আমরা তার জন্য লাইফ পার্টনার খোঁজার চেষ্টা করতে থাকি।
তৃতীয়ত, আন্তরিক ক্লায়েন্ট সার্ভিস। আমাদের এক্সিকিউটিভরা আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য সপ্তাহে ৬ দিন এভেইলেবল আছেন। অন্যান্য অনেক কোম্পানি যারা প্রথম দিকে আগ্রহ দেখিয়ে পরে ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়, এমনকি ক্লায়েন্টের নাম্বার ব্লক করে দেয়। সাইয়োনিতে এজাতীয় কিছু হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
আপনাদের দেখলাম "রিফান্ড পলিসি" আছে। একটু বুঝিয়ে বলুন
জ্বী। বাংলাদেশের ম্যাচমেকিং ইন্ডাস্ট্রিতে ৯৯% প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন ফি একবার নিয়ে নিলে, সার্ভিস ভাল হোক কিংবা খারাপ, সেটার দায়ভার নেয়না এবং কোন রিফান্ড দেয়না। সাইয়োনির মার্কেটিং রিসার্চ অনুযায়ী শুধুমাত্র সাইয়োনি এবং আর একটি প্রতিষ্ঠানের রিফান্ড পলিসি আছে।
সাইয়োনিতে যারা ৭৫০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন, তাদের যদি লজিক্যাল কারণে মনে হয়, তারা আমাদের সার্ভিস নিতে চাচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে আমরা ৭০% টাকা রিফান্ড** করে দেই।
**রিফান্ড টার্মস
- রেজিস্ট্রেশনের দুই মাসের মধ্যে জানাতে হবে
- লজিক্যাল এক্সপ্লেনেশন থাকতে হবে কেন রিফান্ড চাচ্ছেন। অনেকে আছেন, অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সে কারণে রিফান্ড চাচ্ছেন, এধরনের ব্যাখ্যা এক্সেপ্ট করা হয়না
- ক্লায়েন্টকে অবশ্যই সাইয়োনির রেজিস্ট্রেশন টার্মস এন্ড কন্ডিশনস ফুলফিল করতে হবে। কোন ক্লায়েন্ট যদি টার্মস এন্ড কন্ডিশন্স মেনে চলতে ব্যার্থ হন, তাকে রিফান্ড দেয়া হয়না
রেজিস্ট্রেশন না করে কোনো বায়োডাটা দেখানো যাবেনা ? / আমি কিছু স্যাম্পল বায়োডাটা দেখতে চাই, দেখাতে পারবেন ?
কোন নতুন ক্লায়েন্ট যখন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন, আমরা শুরুতেই তার প্রোফাইল এবং পছন্দ শুনে একটা আইডিয়া দিয়ে দেই যে তার সাথে মানানসই আনুমানিক কতগুলো বায়োডাটা আমাদের কাছে আছে। যদি কোন ক্লায়েন্ট স্যাম্পল বায়োডাটা দেখতে চান, আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ "MATCHMAKING BY SAIYONEE" তে জয়েন করতে পারেন। সেখানে আমাদের অনেক রেজিস্টার্ড মেম্বারদের প্রোফাইল পোস্ট করা হয় নিয়মিত (পারমিশন নিয়ে)। এর বাইরে প্রোফাইল দেখতে হলে, অবশ্যই তাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মেইনলি, ক্লায়েন্টের প্রাইভেসি নিশ্চিত করতে আমরা রেজিস্টার্ড মেম্বারের প্রোফাইল অচেনা/আনরেজিস্টার্ড কাউকে দেখাতে চাইনা।
আপনাদের প্রোফাইল গুলো কি ভেরিফায়েড? / আপনারা কি ক্যান্ডিডেটদের ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন ?
আমাদের মেজরিটি ক্লায়েন্ট (৭৫% +) আসেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমাদের এডভার্টাইজমেন্ট দেখে। ২০% আসেন আমাদের রেজিস্টার্ড ক্লায়েন্টদের ভাল অভিজ্ঞতার কথা শুনে। আর ৫% ক্লায়েন্ট সাইয়োনির ফাউন্ডার কিংবা টিম মেম্বারদের পরিচিত বন্ধু/আত্মীয়। বুঝতেই পারছেন যে, শেষের ৫% ছাড়া বাকি কাউকে আমরা আগে থেকে চেনার সুযোগ পাইনা।
তবে, আমরা যখন নতুন কোন ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলি, বোঝার চেষ্টা করি তাদের মানসিকতা, ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার। কারো মধ্যে আপত্তিকর কোন আচরণ থাকলে আমরা তাকে রেজিস্ট্রেশন করাইনা। আমরা সবসময় ভাবার চেষ্টা করি, যে মানুষটা সাইয়োনিতে আসছেন, তাকে কি আমরা অন্য মেম্বারদের সাথে পরিচয় (বায়োডাটা আদান প্রদান) করিয়ে দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবো ?
আবার, রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলেই যে আমাদের যাচাই বাছাই শেষ হয়ে যায় তা না। ম্যাচমেকিং টিম যখন নিয়মিত একটা ফ্যামিলির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, সেখানেও আমরা দেখার চেষ্টা করি তাদের আন্তরিকতা কেমন। অনেকবার এমন হয়েছে যে, রেজিস্ট্রেশনের পর ক্লায়েন্টের ব্যাবহার আমাদের কাছে অমার্জিত মনে হয়েছে কিংবা সন্দেহজনক মনে হয়েছে এবং তাকে সম্পুর্ণ রেজিস্ট্রেশনের ফি ফেরত দিয়ে তার মেম্বারশিপ ক্যান্সেল করে দিয়েছি আমরা।
তাছাড়া রেজিস্টেশনের শুরুতে আমরা ন্যাশনাল আইডি / ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্টের কপি নেই। এতে করে ফ্রড / ধূর্ত মানুষেরা আমাদের এখানে রেজিস্ট্রশন করার সাহস পায়না।
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে , আমরা কারো ব্যাক্তিগত কিংবা চারিত্রিক বিষয় নিয়ে কোন নিশ্চয়তা দিতে পারিনা, আর সেটা রিয়েলিস্টিক ও না। একটি ছেলে কোথায় যাচ্ছে কি করছে, কিংবা একটি মেয়ে প্রেম করা অবস্থায়, ফ্যামিলির প্রেশারে এরেঞ্জড ম্যারেজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা, এটা বায়োডাটা দেখে কিংবা ছেলে মেয়ের সাথে কয়েকবার কথা বলে কখনই বলা সম্ভব না।
সবশেষে কনফিডেন্টলি এটা বলতে পারি , এখনকার সময়, অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমরা সিলেক্টিভ। আর অনগোয়িং ভেরিফিকেশন করতে থাকি প্রতিটি ফ্যামিলির, যতদিন বিয়ে না হয়ে যাচ্ছে।
আমার ছেলে/মেয়ের বিয়েটা তাড়াতাড়ি দেয়া লাগবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে আপনারা ম্যাচমেকিং করতে পারবেন ?
না। বিয়ে কখনো আল্লাহ/ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার বাইরে হয়না। আপনি, আমরা, সবাই মিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি কেবল। যে কারণে, আমরা সার্ভিস দেই ১.৫ বছর ধরে। ক্যান্ডিডেট যদি যোগ্য হয়, এবং তার রিকয়ারমেন্ট যদি রিয়েলিস্টিক হয়, তাহলে ১.৫ বছর অনেক লম্বা সময়। আশা করা যায় এই সময়ের মধ্যে ভাল কিছু হবে ইনশাল্লাহ । আপনার ক্যান্ডিডেট যদি সেরকম আকর্ষণীয় হয় সবদিক থেকে, এবং আল্লাহর ইচ্ছা থাকে, তাহলে দুই মাসের মধ্যে বিয়ে হতেও পারে।
খেয়াল করে ভেবে দেখবেন, একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের বিয়ে হবে কিনা, সেটা ছেলে এবং মেয়ের আউটলুক, হাইট, বয়স, শিক্ষা, প্রফেশন, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ৯০% ক্ষেত্রে। শুধু সাইয়োনির পরামর্শ শুনে কেউ কাউকে বিয়ে করেনা।
আমাদের কন্ট্রিবিউশন বা প্রচেষ্টা থাকে ২ টি জায়গায়।
প্রথমত, শিক্ষিত পরিবার হিসেবে, আপনাদের পক্ষে সম্ভব না সবার কাছে নিজের ছেলে বা মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে বলা। এ জায়গায় সাইয়োনি হেল্প করছে শিক্ষিত ফ্যামিলিদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক দিয়ে। আমাদের কাছে প্রতিদিনই নতুন ফ্যামিলিরা রেজিস্ট্রেশন করছেন। আরও অনেক ক্লায়েন্ট আসছেন অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা শুনে। এর বাইরেও, আমরা প্রতিমাসে একটা বড় অংকের এডভার্টাইজমেন্ট দেই ফেইসবুক এবং বিভিন্ন মাধ্যমে, যেন শিক্ষিত ফ্যামিলিরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। আপনার পক্ষে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব না, সেই নেটওয়ার্ক আমরা আপনাকে এনে দিচ্ছি।
দ্বিতীয়ত, সঠিক প্রেজেন্টেশন এবং এফোর্ট। একজন ক্যান্ডিডেট হয়তো অনেক কোয়ালিফাইড, কিন্তু তাকে এপ্রোপ্রিয়েট ওয়েতে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছেনা দেখে অনেক রিজেকশন আসছে। সাইয়োনির চেষ্টা করে ম্যাচমেকিং এর প্রতিটি স্টেপে ক্যান্ডিডেটের প্রোফাইলকে স্মার্টভাবে প্রেজেন্ট করতে (সব তথ্য সঠিক রেখেই)। আমরা এমন ছবি সিলেক্ট করি, এবং গাইড করি, যেখানে একজন ক্যান্ডিডেটের ব্যাপারে ফার্স্ট ইম্প্রেশন সুন্দর হয়। তাছাড়া, সাইয়োনির মাধ্যমে যখন একটা প্রোফাইল কোন পরিবারের কাছে যাচ্ছে, সেখানে গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেড়ে যায়।
সবশেষে, আবারো বলতে চাই, আল্লাহর ইচ্ছা হলে, সাইয়োনি কেন, যে কোন উসিলায় আপনার ছেলে মেয়ের বিয়ে হতে পারে। কিন্তু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যেমন আল্লাহর উপর ভরশা করার পাশাপাশি নিজেরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করি (পড়াশোনা, ক্যারিয়ার), বিয়ের ক্ষেত্রে, সাইয়োনি আপনার সেই চেষ্টার অংশ।
আমি আমার মেয়ের প্রোফাইলের প্রাইভেসি নিয়ে চিন্তিত। আপনারা কি পাবলিকলি কোথাও পোস্ট করবেন ?
না, আমাদের ম্যাচমেকিং এর মেইন প্রসেসে শুধুমাত্র অন্য রেজিস্টার্ড মেম্বারদের মধ্যে যাদের সাথে আপনার রিকয়ারমেন্ট মিলছে, তাদেরকেই আপনার মেয়ের প্রোফাইল দেখানো হবে, সবাইকে না।
পাশাপাশি, সাইয়োনির ফেইসবুক ম্যাট্রিমোনিয়াল গ্রুপ "MATCHMAKING BY SAIYONEE" তে শুধু তাদের প্রোফাইল পোস্ট করা হয়, যারা পারমিশন দেন। রেজিস্ট্রেশনের ফর্মেই এই পারমিশন দিয়ে দেন অনেক ক্লায়েন্ট।
তবে, আমাদের অনগোয়িং রিসার্চ বলে, যাদের প্রোফাইল আমরা গ্রুপে পোস্ট করি, তাদের জন্য যথেষ্ট বেশি প্রোপোসাল আসে।
বিয়ের আলোচনা শুরু হলে দুই ফ্যামিলির মিটিং এর ব্যাপারে কি আপনারা হেল্প করেন ?
জ্বী। সাইয়োনির অফিসে চমৎকার কনফারেন্স রুম আছে যেখানে আপনারা চাইলে ফ্যামিলি মিটিং করতে পারবেন। রেস্টুরেন্ট বা বাইরে ফ্যামিলি মিটিং করতে গেলে অনেক সময় পরিচিত কারো সাথে দেখা হয়ে যাবার দুশ্চিন্তা মাথায় কাজ করে। আবার রেস্টুরেন্টে চাইলেও অনেক বেশি সময় বসা যায়না, বিশেষ করে পিক আওয়ারে। এবং ভদ্রতা করে বেশি খাবার অর্ডার করতে গিয়ে দেখা যায় প্রতিবারই বড় বিল চলে আসে। এই সব সমস্যার সল্যুশন হিসেবে, আমরা আমরা আমাদের মিটিং রুম রেডি করেছি, যেখানে রিজনেবল একটা পেমেন্ট করে আপনারা নিশ্চিন্তে অনেক সময় ধরে বিয়ের জরুরি আলাপ করতে পারবেন।
শুনেছি আপনাদের রেফারেল পলিসি আছে ?
জ্বী। আপনি যদি সাইয়োনির রেজিস্টার্ড মেম্বার হন, এবং আপনার পরিচিত কাউকে সাইয়োনির ব্যাপারে রেফার করেন, সেক্ষেত্রে প্রতিটি রেফারেলের জন্য (তাদেরকে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন কর তে হবে) আপনি ১০০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন।






